আফিম থেকে তৈরী বেদনা নাশক ঔষধ হিসাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়। ইনজেকশন, সলিউশন, ট্যাবলেট ও সাপোজিটর হিসাবে বাজারে পাওয়া যায়। স্বাদ তিতা, গন্ধ তেতুলের মত এবং দেখতে ইটের গুড়ার মত লালচে।
এমফিটামিন, এনফিটামিন নামক স্নায়ু উত্তেজক মাদকের সাথে মরফিন বা সিডেটিভ কিম্বা ট্রাংকুইলাইজার জাতীয় মাদক মিশিয়ে ককটেল জাতীয় ট্যাবলেটকে ইয়াবা নামে গোপনে বাজারজাত করা হয়। রঙ লালচে/গোলাপী/সবুজ, গন্ধ ভ্যানিলা বা কমলা, আকৃতি ২/৩ মিলিমিটার পুরু, অনেক সময় পাউডার আকারেও পাওয়া যায়। চা বা কফির সাথে মিশিয়ে পান বা ডিষ্টিল ওয়াটারের সাথে মিশিয়ে সিরিঞ্জের মাধ্যমে শরীরে গ্রহণ করা হয়। বার্মা ও থাইল্যান্ড থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে আসে আবার দেশেও গোপনে তৈরী করা হয়। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় হিটলার তার সৈন্যদের ক্ষিপ্রতা বৃদ্ধির জন্য “বুলেট” নামে ইয়াবা সরবরাহ করতেন।
এটি একটি কৃত্তিম মাদক যা আফিমের সহধর্মী। সাধারণতঃ বেদনা নাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। টিজিজেসিক, বুনোজেসিক নামে ইনজেকশন ও ট্যাবলেট আকারে বাজারে পাওয়া যায়। এটি হেরোইন সেবী নেশাগ্রস্তদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
এটি বেদনা নাশক এক ইসজেকশন। ঔষধ জাতীয় এ মাদক দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে নেশা হয়ে যায়। স্বল্প খরচে গ্রুপ মাদকাসক্তরা একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে এটি শরীরে গ্রহণ করে। ফলে এইডস সহ অন্যান্য রোগের ঝুকিতে থাকে এই মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা।
এটি মূলতঃ কাশির ঔষধ হিসেব আত্মপ্রকাশ করে। নির্দিষ্ট পরিমাপের অধিক সেবনে মানুষ নেশাগ্রস্ত হয়। ইহা আফিম থেকে উদ্ভূত কোডিন ফসফেটযুক্ত তরল পদার্থ যাহা সিরাপ আকারে বোতলে পাওয়া যায়। তবে সমসাময়িককালে এই মাদক ভারত থেকে অবৈধ ব্যবসায়ীরা খোলা নৌকার মধ্যে ঢেলে বাংলাদেশে এনে প্রথমে ড্রাম ও পরে বোতলজাত করে। যার কারনে এইট আরো বিষাক্ত হয়। এতে তেমন কোন গন্ধ নেই। মাদক সেবীদের নিকট অত্যান্ত জনপ্রিয় সাংকেতিক নাম “ডাইল”। বহুজাতিক অনেক ঔষধ কোম্পানী বিভিন্ন নামে এটি বাজারজাত করে। বাংলাদেশে এটি নিষিদ্ধ বিধায় অবৈধ চোরাচালানীরা ভারত থেকে গোপনে সংগ্রহ করে অথবা গোপনে বাংলাদেশে তৈরী করে সরবরাহ করে।
সিডেটিড, হিপনোটিকস জাতীয় ঘুমের ঔষধ যা সেবনের পর মানুষের দেহে তন্দ্রা ও নিদ্রার সৃষ্টি হয়। বাজারে ভ্যালিয়াম, ফ্রিশিয়াম, ইউনিকটিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। অধিক সেবনে মৃত্যু ঘটতে পারে।