২৯ মার্চ ২০১৮, ১২:৩০ আপডেট: ২২ মে ২০১৮, ১৬:৩০ সুত্র:প্রথম আলো

মাদক ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও

* সরকারি প্রতিবেদনে ভয়াবহতার চিত্র।
* অর্থের জোগান দিতে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজিতে শিক্ষার্থীরা।
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ কলুষিত হচ্ছে।
* মাদক ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদকদ্রব্য সেবনের সঙ্গে এর ব্যবসাতেও জড়িয়ে পড়ছেন। সরকারের এক প্রতিবেদনেই এই ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। এতে বলা হয়েছে, ঢাকার বাইরে ২১ জেলায় ৪১৬ জন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসায় জড়িত। এর মধ্যে ছাত্র-শিক্ষক আছেন ৯৫ জন, যাঁদের ৭৮ জনই ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মী।

সরকারি প্রতিবেদনেই এর ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদক ছড়িয়ে পড়ার কারণে সেখানকার পরিবেশ কলুষিত হচ্ছে। অন্যদিকে মাদকের জন্য অর্থের জোগান দিতে গিয়ে এসব ছাত্র টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দলবাজি করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নিজেও এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করেছেন। প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাদক ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। আমরা চারটি সরকারি সংস্থা ও মাদক অধিদপ্তরের তালিকায় যেসব অভিন্ন নাম রয়েছে, প্রথম ধাপে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর পর্যায়ক্রমে হাতে পাওয়া অন্যান্য তালিকায় যাদের নাম আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সরকারি হিসাবে ধরে নেওয়া হয়, দেশে এখন মাদকসেবীর সংখ্যা ৬৬ লাখ। ২০১০ সালেও এ সংখ্যা ছিল ৪৬ লাখ। দিনে দিনে তা বেড়েই চলেছে। মাদক সেবীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাদকের বাজারও বিস্তৃত হচ্ছে। শহর থেকে তা গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশে এখন ১৫ বছরের বেশি বয়সের মাদকসেবী আছে ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। এতে করে প্রতি ১৭ জনে একজন তরুণ মাদকাসক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এদের প্রায় সবাই ইয়াবাতে আসক্ত। ইয়াবা ছাড়াও হেরোইন, ফেনসিডিল ও গাঁজা সেবন করছে মাদকসেবীরা।

জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইউএনওডিসির মতে, বাংলাদেশে বছরে শুধু ইয়াবা বড়িই বিক্রি হচ্ছে ৪০ কোটির মতো। যার বাজারমূল্য প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা (প্রতিটি দেড় শ টাকা)। ইয়াবা বড়ির পেছনে মাদকসেবীদের বছরে যে খরচ তা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির বার্ষিক বাজেটের প্রায় দ্বিগুণ। আর পুলিশের বাজেটের প্রায় অর্ধেক।
আর্থিক, সামাজিক, মানবিক—নানাভাবে ইয়াবার ভয়াবহতা দেশজুড়ে ছড়ালেও তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ খুব সামান্যই। ইয়াবা বন্ধে মাদকদ্রব্য ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অভিযান ছাড়া আর কোনো তৎপরতা নেই। অন্য বাহিনীগুলোর তৎপরতা শুধু উদ্ধারের ভেতরেই সীমাবদ্ধ। বর্তমানে সরকারি বাহিনীগুলো শুধু তালিকা তৈরির ভেতরেই তাদের মাদকবিরোধী অভিযান সীমাবদ্ধ রেখেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এর আগে সরকারের প্রতিবেদনে শুধু ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৮ জন মাদকের সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ওই তালিকায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ছিলেন ২০। এবারের তালিকায় ঢাকার বাইরের ২১ জেলার চিত্র ফুটে উঠেছে।
সরকারি তালিকা ধরে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ২১টি জেলায় অনুসন্ধান চালানো হয়। তাতে দেখা গেছে, সরকারি কর্মচারীসহ ২২২ জন সরাসরি মাদক সরবরাহ করে থাকেন। এ দলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও আছেন ২১ জন।

সরেজমিন যা পাওয়া গেল
সরকারি প্রতিবেদনে মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকার ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলামের নাম এসেছে।
তবে শাহাদাত হোসেন মাদক ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অস্বীকার করেছেন মাসুম বিল্লাহও। আর মঈনুল ইসলাম বলেন, দলীয় কোন্দলের কারণে তাঁদের নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসেনের নাম এসেছে। আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনীতি করি বলে কেউ অভিযোগ করতেই পারে। তবে এ অভিযোগের সত্যতা নেই।’
আর এ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এমন তালিকা হয়ে থাকলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

প্রতিবেদনে মানিকগঞ্জ জেলার ২৯ জনের বিরুদ্ধে মাদকের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করা হয়েছে। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সিঙ্গাইর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গত ২১ সেপ্টেম্বর মাদকের মামলা হয়েছে। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রমিজ উদ্দিন বলেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসার শিকার।

শুধু যুবলীগের নেতা রমিজই নন, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাই সেখানে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। ছাত্রলীগের এসব নেতার মধ্যে আছেন মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদিম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভির ফয়সাল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসাদুজ্জমান ও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অলিদ আহমেদ। পৌর ছাত্রলীগের কর্মী সৌরভ হোসেন ও শাকিল হোসেন এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করেন। এঁরা দুজনই জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশারের ঘনিষ্ঠ। জানতে চাইলে যুবলীগের নেতা আবুল বাশার বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’

রংপুরে ১৭ জনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মুন্নাফ আল কিবরিয়া, সাবেক সহসভাপতি হাদীউজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক শাওন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিথিষ চন্দ্র মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবেক সহসভাপতি হাদীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু মুন্নাফ আল কিবরিয়া বলেছেন, ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করতে একটি পক্ষ এই অপপ্রচার করছে।

মাদক ব্যবসায় অভিযুক্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত চারজনই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এঁরা হলেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আল মামুন, ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ছাত্রলীগের সহসভাপতি স্বাগত।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগের নেতৃত্বে সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস ও অপর ভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসান।
সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ওই চারজন সাধারণ সম্পাদক শামীমের অনুসারী। চারজনই মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী। এঁদের মধ্যে তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে বহিষ্কার করেছে। তবে সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসান বলেন, তাঁদের কেউ মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।

কিশোরগঞ্জ ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও আশপাশে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত যে ১৫ জনের নাম এসেছে, তাঁদের মধ্যে পৌরসভাসংলগ্ন এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে রুবেলের বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি, মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন জামিনে আছেন। গাইটাল শিক্ষকপল্লির রমজান আলীর ছেলে মো. কবিরের বিরুদ্ধে একটা মাদক মামলা রয়েছে। গাইটাল শিক্ষকপল্লির সাহাদত কবীরের ছেলে মো. সারোয়ার কবীরের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা, পৌরসভাসংলগ্ন এলাকার ল্যাংড়া রাজনের বিরুদ্ধে চুরি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এখন জামিনে আছেন।

চট্টগ্রাম ও টাঙ্গাইলেও একই পরিস্থিতি
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্র সৈয়দ ইমাম বাকের মাদক কেনাবেচায় জড়িত। ক্যাম্পাসে অধিকাংশ মারামারির ঘটনার ইন্ধনদাতা তিনি। কম্পিউটারবিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের ২০১২ ব্যাচের ছাত্র কামরুল হাসানের বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ। আরেক মাদক ব্যবসায়ী নাফিউল ইসলাম যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্রদের হুমকি দিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে আসছেন। এ ছাড়া যন্ত্রকৌশল বিভাগের মোহাম্মদ হাবিব বাকেরও দীর্ঘদিন ধরে মাদক কেনাবেচায় জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. হাসান ইয়াবা ব্যবসা করেন। দেড় মাস আগে তিনি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হন।

জানতে চাইলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তালিকা হয়তো ঠিক আছে। তবে মাদক সঙ্গে না পেলে আমরা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারি না। তা ছাড়া আমাদের লোকবল কম।’ তবে তিনি স্বীকার করেন সব জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঠিকভাবে কাজ করছেন না।
সরকারি প্রতিবেদনে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন ছাত্রসহ মোট ৪২ জনের নাম এসেছে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব তালুকদারসহ তাঁর অনুসারী একাধিক নেতা এই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ ছাড়া সন্তোষ ঘোষপাড়া এলাকার লাভলু, সন্তোষ ধোপাপাড়ার আবদুল আওয়াল, সন্তোষ রথখোলা এলাকার বাবু, দিঘুলিয়া এলাকার সিদ্দিকসহ বেশ কয়েকজন মাদকসেবী এবং মাদক বিক্রেতা ক্যাম্পাসে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে থাকে। সরকারের প্রতিবেদনে মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসানের নাম উঠে এসেছে। তিনি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে পুলিশকে বলা হয়েছে।
এভাবে ছাত্রলীগ নেতাদের মাদক ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সংগঠনের কোনো ছাত্র যদি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি।’

ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের এভাবে মাদকে জড়িয়ে পড়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদক ঢোকার অর্থ হচ্ছে তরুণ সমাজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়া। মাদক এখন একটি বড় ব্যবসা। ক্ষমতাসীনরা এদের ব্যবহার করে এসব ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে হতাশা থেকেই মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে সবাই। যারা এসব করছে, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।

Any where in Bangladesh 24/7 Ambulance service

Cricent Plaza, 145/1, Green Road, Dhaka-1205
Mobile: 01713-031449, 01742-544000
Phone: 58150414, 029130270, 029130269